আপডেট নিউজ

4/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

শায়েখে যাত্রাবাড়ী এবং মুসলেহ উদ্দীন রাজুর প্রতি তাদের ক্ষোভের কারণ কী। চলুন একটু জেনে আসি।

বেফাক একটি হরিলুটের ময়দান তা আমরা কওমি অঙ্গনের  সবাই  কম-বেশী জানি। যেখানে একজন মাদরাসা শিক্ষক দিনরাত খেটে সারা মাসে বেতন পান ৬-৭ হাজার টাকা,সেখানে বেফাকের কর্মকর্তারা একবেলা এসে রাহা খরচের ভাউচার দেখান  হাজার হাজার টাকা। এছাড়াও মোটা অঙ্কের বেতন, নির্মাণ, প্রকাশনার দূর্নীতিতো ওপেন সিক্রেট। বেফাকে রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ। যারাই বেফাকের অনিয়ম-দূর্নীতি  নিয়ে কাজ করে বা কথা বলে,তাদেরি ওরা সংঘবদ্ধ ভাবে আক্রমন করে। গত বছর দেখেছি প্রকাশনা নিয়ে কথা বলায় আল্লামা উবায়দুর রহমান  খান নদভী কে ওরা হেনস্থা করেছে। ওরা চায়নি শায়খে যাত্রাবাড়ী বেফাকের দায়িত্বে আসুন। কারণ ওরা জানে উনি আসলে তাদের লুটেপুটে খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। তাই কেউ কেউ ঠ্যাং ভাঙ্গার হুমকী দিয়েছিলো। দালাল ট্যাগ লাগিয়ে ছিলো। জেলায় জেলায় তাহাফুজে ফিকরে দেওবন্দের নামে তার বিরোদ্ধে জনমত গঠনের সেমিনার করেছিলো। কিন্তু ওরা না চাইলেও সচেতন কওমিরা বিপুল সমর্থন দিয়ে ঠিকই উনাকে নিয়ে এসেছে তাদের প্রিয় বোর্ডটিকে বাঁচাতে। শায়খে যাত্রাবাড়ী এসে বেফাকের আমূল পরিবর্তনে হাত দিয়েছেন। প্রথম ধাপে তিনি বেফাকের ৬ কোটি  টাকা নির্মাণ ব্যায় বাঁচিয়েছে। (এতে সংঘবদ্ধ গ্রুপ ৬ কোটি হাতছাড়া হওয়ার শোকে দিশেহারা)। দূর্নীতিগ্রস্ত পাঁচটি বিভাগে বিনা বেতনে পাঁচজন দেশসেরা ক্লীন ইমেজের আলেমকে উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন। যাতে সচ্চভাবে বিভাগ গুলো পরিচালিত হয়। উনি নিজেও বেফাক থেকে কোন সুবিধা গ্রহণ করেন না। উনার এই কর্মকান্ডে দূর্নীতিবাজদের মাথায় ঠাডা পরেছে। তাই  তাঁর বিরোদ্ধে মিথ্যা ও নগ্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। যেমনি ওরা আল্লামা আহমাদ শফি রাহি এর বিরোদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছিলো।

🔅ওদের আরেক পথের কাঁটা হলো রাজু। যারা বেফাক সম্পর্কে ধারণা রাখেন তারা জানেন,রাজুর পিতা হাফিজুল কুরআন ওয়াল হাদীস,ওলীয়ে কামেল আল্লামা নূরুদ্দীন গহরপুরী রাহি. এই বেফাক কে একটি শক্তিশালী বোর্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে কতো ত্যাগ স্বীকার করেছেন। নিজে বেফাক থেকে কোন সুবিধাতো গ্রহণ করেননি,বরং তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা বেফাকে দিয়েছেন। সেই পিতার যোগ্য সন্তান হিসাবে রাজুও বেফাকের দূর্নীতি সহ্য করেনা, তাই তার প্রতিও ওই গ্রুপ ক্ষ্যাপা। ওরা নিজেরা স্যোস্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং জাতীয় মিডিয়ায় মিথ্যা বানোয়াট রিপোর্ট করাচ্ছে। মিডিয়ার রিপোর্ট কে ওহী বানিয়ে প্রচার করছে। কিন্তু এই এরাই আবার ওদের বিরোদ্ধে মিডিয়ায়  রিপোর্ট হলে বলে,নাস্তিক-ইসলাম বিরোধী মিডিয়া আলেমদের বিরোদ্ধে লেগেছে! ওদের তো বুঝা উচিৎ, ওরা যেমন মিথ্যা রিপোর্ট করিয়ে তাকে ওহী বানিয়ে প্রচার করছে , তেমনি যদি সবাই গত দু'মাসের হেফাজতের নেতাদের বিরোদ্ধে করা মিডিয়া রিপোর্ট গুলোকেও ওহী!মনে করে ,তবে কেমন হবে!? এই সংঘবদ্ধ গ্রুপটির হাত থেকে কওমী বাঁচাতে হবে এখনি। তা নাহলে কওমী অঙ্গন ধ্বংসের জন্য কোন বাতিল শক্তির প্রয়োজন নেই,এরাই ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ঠ হবে।

Post a Comment

0 Comments